আজ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জে করোনার ২৪ঘন্টায় ৯৬ জন শনাক্ত, মৃত্যু ১

 

কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেই চলেছে। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টেও সংক্রমণ বেড়েই চলছে।

সর্বশেষ রিপোর্টে জেলায় মোট ৯৬ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর বিপরীতে করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে জেলায় এদিন সুস্থ হয়েছেন মোট ৩৫ জন। এছাড়া জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তি বাজিতপুর উপজেলার ৫২ বছর বয়সী একজন পুরুষ।

বুধবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ পরিস্থিতিতে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বর্তমান রোগীর সংখ্যা আরো ৬০ জন বেড়েছে।

আগের দিন বুধবার (৩০ জুন) জেলায় বর্তমান আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ৭৬২ জন। ফলে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বর্তমান রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ৮২২ জন।

জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া মোট ৯৬ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৪ জন শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া বাকি ৪২ জনের মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় ২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৩ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৫ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৫ জন, ভৈরব উপজেলায় ১৭ জন এবং বাজিতপুর ‍উপজেলায় ২ জন শনাক্ত হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় বর্তমান মোট রোগী ৮২২ জনের মধ্যে ৫৭৩ জনই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৫৫৪ জন।

এছাড়া জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু ৮৯ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

দুই উপজেলা বর্তমানে করোনাশূন্য থাকায় বাকি ১০ উপজেলা মিলিয়ে বর্তমান রোগীর সংখ্যা ২৪৯ জন।

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে হাসপাতালটির প্রি-আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ সোমবার (২৮ জুন), মঙ্গলবার (২৯ জুন) ও বুধবার (৩০ জুন) সংগৃহীত মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।

পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৪৮ ভাগ।

বাকি ১৩১ জনের মধ্যে ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে। সেখানে বুধবার (৩০ জুন) এই ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।

এছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৪৩ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৪ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।

নতুন সুস্থ হওয়া ৩৫ জনের সবাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার।

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৫ জন যাদের মধ্যে ৫ জন আইসিইউতে রয়েছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ১৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৬০৫৪ জন শনাক্ত, ৫১৪৩ জন সুস্থ এবং ৮৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ৮২২ জন। তাদের মধ্যে ৫১ জন হাসপাতাল ও ৭৭১ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

জেলার মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এ দুই হাওর উপজেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কোন রোগী নেই।

বর্তমানে করোনা আক্রান্ত মোট ৮২২ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৭৩ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৯ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ২১ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২৩ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৬ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৫১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২৬ জন, ভৈরব উপজেলায় ৬৩ জন, নিকলী উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১৯ জন এবং ইটনা উপজেলায় ৬ জন রয়েছেন।

এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।

এরপর গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১১৭৫ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ২৯ জন সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

অন্যদিকে গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ৩০৭ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ